অলস্পোর্ট ডেস্ক: একে একে অনেক ফুটবলারই বেঙ্গালুরুতে জাতীয় শিবিরে যোগ দিয়েছেন। তার মধ্যে চোট পাওয়ার পর সন্দেশ ঝিঙ্গানের ভারতীয় দলে ফেরাটা বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। কারণ ৯ অক্টোবর সিঙ্গাপুরের বিরুদ্ধে এএফসি এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়ারের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে স্টপারে আনোয়ার আলির পাশে সন্দেশের থাকা মানে রক্ষণভাগের জমাটভাবটা অনেকটাই বেড়ে যাওয়া। ভারতীয় ফুটবল দলের কোচ খালিদ জামিলের কাছে যা স্বস্তির।
এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টায়ার টুর ম্যাচে আল জাওরার বিরুদ্ধে সন্দেশ এএফসি গোয়া দলেও ছিলেন। চোয়ালে অপারেশনের পর মাঠে নেমে খেলতে গিয়ে আবার যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য চিকিৎসকরা সন্দেশকে ফেস গার্ড পরে খেলতে বলেছেন। কমপক্ষে দু’মাস। সিঙ্গাপুরের বিরুদ্ধে ম্যাচে কোচ খালিদ সেটা মাথায় রেখেই ব্যবহার করবেন সন্দেশকে।
সিঙ্গাপুরের বিরুদ্ধে ৯ অক্টোবর অ্যাওয়ে ও ১৪ অক্টোবর ঘরের মাঠে ম্যাচ দুটো কার্যত সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ভারতীয় দলের কাছে। এই দুটো ম্যাচ থেকে পুরো পয়েন্ট না পেলে, ২০২৭ সৌদি আরব এশিয়ান কাপের মূল পর্বে ওঠার আশা শেষ হয়ে যাবে খালিগ ব্রিগেডের। ভারতীয় দলের অন্যতম ভরসা গোলকিপার গুরপ্রীত সিং সান্ধুও তাই মরিয়া ম্যাচ দুটো জিততে।
২০২২ সালে ভিয়েতনামের মাঠে আন্তর্জাতিক প্রীতি টুর্নামেন্টে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে ১-১ ড্র করেছিল ভারত শেষ সাক্ষাতে। সেই খেলা স্মরণ করে গুরপ্রীতের প্রতিক্রিয়া, ‘ সিঙ্গাপুরের সঙ্গে যখন শেষবার মুখোমুখি হয়েছিলাম, তখনকার তুলনায় বর্তমান দলটা অনেকটা বদলেছে। ওদের দলে এমন কয়েকজন ফুটবলার আছে, যারা ম্যাচের ছবি বদলে দিতে পারে। আগের সাক্ষাতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল। প্রতিপক্ষ হিসেবে ওদের গুরুত্ব দিলেও, আমরাও তৈরি কড়া চ্যালেঞ্জ জানাতে। জিততে মরিয়া ১ গোলে হলেও।’
কাফা নেশনস কাপে ভারতীয় দলের ব্রোঞ্জ জয়ের পিছনে বড় হাত ছিল গোলকিপার গুরপ্রীতের। নিজের পারফরমেন্স দিয়ে গোটা দলকে উজ্জীবিত করেছিলেন ওই টুর্নামেন্টে। কোচ খালিদ জামিলও পরে মন্তব্য করেছিলেন, গুরপ্রীত এক বছরের বেশি সময় জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন। তাঁকে দলে ফিরিয়ে ঠিক কাজ করেছিলেন। গুরপ্রীতের প্রতিক্রিয়া, ‘ কাফা নেশনস কাপের সাফল্য শুধু ভারতীয় দলের ফুটবলারদের নয়, গোটা দেশের ফুটবল পরিবারকে উজ্জীবিত করেছে। বিশ্বাস বাড়িয়েছে। দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে নেমে একটা দল হিসেবে লড়ে সাফল্য অর্জন করেছি। এই একই মনোভাব নিয়ে সিঙ্গাপুরের বিরুদ্ধে ম্যাচে মাঠে নামব জিততে। তবে ম্যাচ ধরে ধরে এগোনো জরুরি। আগে সিঙ্গাপুরের মাঠে ৩ পয়েন্ট পাওয়াটা লক্ষ্য। তারপর সেই ফল বুঝে ঘরের মাঠে ওদের বিরুদ্ধে ঝাঁপানো।’
সন্দেশের মতো ভারতীয় দলের নির্ভরযোগ্য উইঙ্গার ছাংতেও মনে করেন, কাফা নেশনস কাপের পারফরমেন্সের পুনরাবৃত্তি সিঙ্গাপুরের বিরুদ্ধে ঘটাতে পারলে, তাদের এশিয়ান কাপের মূল পর্বে যাওয়ারা আশা ভালভাবেই জিইয়ে থাকবে। যেটা হয়ে গেছে সেটা অতীত। এখন শুধু সামনের দিকে তাকানো। মাঠে নেমে সেরা দেওয়া। দলে সুনীল, সন্দেশের মতো লিডারদের প্রত্যাবর্তন গোটা দলকে বাড়তি শক্তি ও প্রেরণা জোগাবে বলেই ধারনা ছাংতের। জানালেন, নবীন ফুটবলারদের চাগানোর কাজটা বিশেষভাবে করছেন সুনীল, সন্দেশ, গুরপ্রীতরা।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন:ফেসবুক ও টুইটার