অলস্পোর্ট ডেস্ক: আইএসএল ক্লাব প্রতিনিধি ও এআইএফএফ সভাপতি কল্যান চৌবের মধ্যে বৈঠক নিষ্ফলা। আলোচনায় এমন কিছু সমাধান সূত্র মেলেনি, যাতে আইএসএল খুব তাড়াতাড়ি শুরু হতে পারে। এর মানে হল, আইএসএল ঘিরে যে অচলাবস্থা ছিল, তা রয়েই গেল।
দিল্লির এই বৈঠকে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট ও ইস্টবেঙ্গলের প্রতিনিধি ছিলেন। কয়েকদিন আগে জুম মিটিংয়ে কল্যানের সঙ্গে ক্লাব সিইওদের আলোচনায় যে জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিল গোটা ব্যাপারটা, সেখান থেকে এক পাও এগোয়নি আইএসএল ঘিরে জট খোলার প্রক্রিয়া। সুপ্রিম কোর্টের থেকে সদর্থক কোনও পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত, এই অচলাবস্থা মেটার কোনও সম্ভাবনা নেই।
ওড়িশা এফসি তো আগেই সরে দাঁড়িয়েছিল। তাই তাদের এই বৈঠকে থাকার কথা ছিল না। দিলির ফুটবল হাউসে ইন্টার কাশী সহ আইএসএলের ১১ দলের প্রতিনিধিরা সামনে থেকে ও জুম কলের মাধ্যমে অংশ নিয়েছিলেন ফেডারেশন সভাপতি কল্যান চৌবের বক্তব্য শুনতে। কিন্তু সেই আলোচনা বেশিদূর এগোয়নি গোটা বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের শুনানির কথা মাথায় রেখে।
সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি পিএস নরসিমা রাও ও জয়মাল্য বাগচী শুনানির দিন ধার্য করেছেন বৃহস্পতিবার। আইএসএল টেন্ডার সংক্রান্ত বিড পদ্ধতি ব্যর্থ হওয়ার পর বিড ইভালুয়েশন কমিটির চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও সুপ্রিম কোর্টের কাছে সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করেছেন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির বেঞ্চ সেই রিপোর্ট প্রাপ্তির কথা স্বীকার করেছেন। একইসঙ্গে তাঁরা কোর্টের নিরপেক্ষ আইনজীবি(অ্যামিকিও কিউরেয়ে) সমীর বনশান ও গোপাল শঙ্করনারায়ণনকে নির্দেশ দিয়েছেন, এই বিষয়ের সঙ্গে জড়িত সমস্ত লিগাল কাউন্সেলদের মধ্যে তা বিলি করতে।
যেহেতু এই রিপোর্ট আইএসএল ক্লাবগুলোর হাতে এখনও আসেনি, তাই ক্লাব প্রতিনিধিদের পক্ষে বিচারাধীন বিষয়ের ওপর আলোচনায় বেশিদূর এগোন সম্ভব হয়নি। এমনকি বিকল্প কোনও বানিজ্যিক সহযোগী নিয়ে আলোচনাও তাই তোলেনি ক্লাবগুলো। ফেডারেশন সভাপতি কল্যান চৌবে ও ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল এম সত্যনারায়ণের মুখেও ঘুরে ফিরে এসেছে সুপ্রিম কোর্টে গোটা বিষয়টা ঝুলে থাকার কথা। তাঁরাও তাকিয়ে বৃহস্পতিবারের শুনানির দিকে। যদিও একইসঙ্গে তাঁদের বক্তব্য ছিল, ক্লাবগুলো যদি বিকল্প কোনও পথ বাতলে দিতে পারে বানিজ্যিক সহযোগী এনে বা অন্যভাবে অর্থ জোগাড় করে, টেলিভিশন স্বত্ত্বের বিষয়টির সমাধান করে, তা ফেডারেশন গ্রহণ করতে প্রস্তুত। ক্লাব কর্তারা সাফ জানিয়েছেন, এন নাগেশ্বর রাওয়ের রিপোর্টে কী আছে না জেনে আর বৃহস্পতিবারের শুনানিতে কী হচ্ছে না দেখে,তাঁরা বিকল্প কোনও ভাবনা সামনে আনতে নারাজ।
শোনা যাচ্ছে ইতিমধ্যে ক্লাব প্রতিনিধিরা এফএসডিএলের সঙ্গে একান্তে আলোচনায় বসেছিলেন। সেখানে নাকি এফএসডিএল খানিকটা ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। তবে তাদের একটাই শর্ত, অবনমন মেনে নিলেও আইএসএলের পুরো নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে দিতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট এটা মেনে নিলে সব সমস্যাই মিটে যাবে।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন:ফেসবুক ও টুইটার





