অলস্পোর্ট ডেস্ক: গত কয়েক বছরে জিমন্যাস্টিক্সে ভারত নিজেদের প্রতিভা তুলে এনেছে পর পর। তার মধ্যে অবশ্যই অন্যতম বড় নাম দীপা কর্মকার। কিন্তু এই বছর এশিয়ান গেমসে খেলা হচ্ছে না তাঁর। এশিয়ান গেমসে কাঁরা যাবেন তার একটা নিয়ম করেছে ভারত সরকার। সেই নিয়মের জালে আটকে পড়েছিল ভারতীয় ফুটবল দলও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের ছাড় দেওয়া হয়েছে। সেই পথেই সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন দীপাও। কিন্তু তাঁর আবেদনে সাড়া দেয়নি কেন্দ্র সরকার। তাঁকে ছাড়াই এশিয়ান গেমসে যাচ্ছে ভারতীয় জিমন্যাস্টিক্স দল। যদিও তিনি ট্রায়ালের সময় শীর্ষে ছিলেন। দীপার কোচ বিশ্বেশর নন্দী একটি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন যে ভারতীয় স্পোর্টস অথরিটির নির্ধারিত মানদন্ড না সরালে তা ভারতীয় জিমন্যাস্টিক্সকে নষ্ট করে দেবে।
সরকারি মানদন্ড অনুযায়ী, এশিয়ান র্যাঙ্কিংয়ে সেরা আটে থাকলে তবেই এশিয়ান গেমসে অ্যাথলিটদের পাঠাবে কেন্দ্র সরকার। অন্যদিকে দীপা এবং তাঁর কোচ যুক্তি দিয়েছেন যে বর্তমান পারফরম্যান্স বিবেচনা করা উচিত। কারণ এর থেকে বর্তমানে একজন অ্যাথলেট কতটা তৈরী সেটা বোঝা যাবে।
দীপা কর্মকারের কোচ বিশ্বেশর নন্দী বলেন, ‘‘আমি আহত, কারা বানিয়েছে এমন মানদন্ড, কোন কমিটি? আমাদের ফেডারেশনের কেউ সেখানে ছিল না। কোন বিশেষজ্ঞ এরকম মানদন্ড তৈরী করেছেন? আমরা তাদের নাম চাই। মানদন্ড তৈরী করার দুই থেকে তিন মাস আগে ঘোষনা করা উচিত ছিল। দীপা গত মাসেই ট্রায়াল দিয়েছিল এবং এক নম্বর স্পট অর্জন করেছিল। আমি দীর্ঘ দিন জিমন্যাস্টিক্সের সঙ্গে যুক্ত। বর্তমানে ফর্ম কেমন সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি ভারতের বাইরেও শুধুমাত্র বর্তমান পারফর্ম্যান্স বিচার করা হয়। আমি জানি না কে এরকম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই মানদন্ডের মাপকাঠি চলতে থাকলে ভারতে জিমন্যাস্টিক্সের মৃত্যু হবে।
দীপা কর্মকার বলেন, ‘‘যদি পুরনো পারফর্ম্যান্স এতটাই জরুরি হত তাহলে সাইমন বাইলসকে ট্রায়ালে নিজেকে প্রমান করতে হতো না। বর্তমান পারফর্ম্যান্সই গুরুত্বপূর্ন। আমি জানি না কি ঘটতে চলেছে কারণ এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু ঘোষনা করা হয়নি। আমি এখনও আশাবাদী যে সরকার আমার পাশে থাকবে।’’
যদি জুনিয়ররা যাঁরা এখনও কোনও প্রতিযোগিতায় অংশ নেননি তাঁরা এশিয়ান গেমসে অথবা কমনওয়েলথ গেমসে খেলতে চায়। সেক্ষেত্রে কি করবে দেশ? তাঁদের কি পাঠাবে না? মনে করেন দীপা ও তাঁর কোচ।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার





