অলস্পোর্ট ডেস্ক: ভারতীয় ব্যাডমিন্টন তারকা সাইনা নেহওয়াল এবং পারুপল্লি কাশ্যপ তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা করার কয়েক সপ্তাহ পরই এই সম্পর্ককে দ্বিতীয় সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নেহওয়াল ১৩ জুলাই একটি ইনস্টাগ্রাম স্টোরির মাধ্যমে দীর্ঘদিনের সঙ্গী পারুপল্লি কাশ্যপের সঙ্গে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন। সেই সময় কাশ্যপ বিচ্ছেদ নিয়ে কোনও কথা বলেননি।
তবে সম্প্রতি এই জুটি তাদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে একটি ছবি শেয়ার করে সবাইকে অবাক করে দিয়েছে, সেখানে তাঁদের তরফে জানানো হয়, দূরে থেকে তাঁরা এক সঙ্গে থাকার মূল্য বুঝতে পেরেছে এবং তাঁরা তাঁদের বিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করছে।
“কখনও কখনও দূরত্ব আপনাকে উপস্থিতির মূল্য শেখায়। এখানে আমরা – আবার চেষ্টা করছি,” নেহওয়াল তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি পোস্টে লিখেছেন, এক সঙ্গে একটি ছবিও শেয়ার করেছেন।
“জীবন কখনও কখনও আমাদের বিভিন্ন দিকে নিয়ে যায়। অনেক চিন্তাভাবনা এবং বিবেচনার পরে, কাশ্যপ পারুপল্লি এবং আমি আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা নিজেদের এবং একে অপরের জন্য শান্তি, ভালো থাকা বেছে নিচ্ছি। স্মৃতিগুলির জন্য আমি কৃতজ্ঞ এবং সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য শুভকামনা জানাই। এই সময়ে আমাদের গোপনীয়তা বোঝার এবং সম্মান করার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ,” সাইনা নেহওয়াল তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করে লিখেছিলেন।
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সম্পর্কে থাকার পর ২০১৮ সালে সাইনা এবং পারুপল্লির বিয়ে হয়। এই জুটি একসঙ্গে ভারতীয় ব্যাযডমিন্টন তারকা হিসেবে বেড়ে ওঠে এবং হায়দরাবাদের পুল্লেলা গোপীচাঁদ অ্যাকাডেমি থেকে তৈরি হয়ে ভারতীয় ব্যাডমিন্টনকে সাফল্য এনে দেন। অলিম্পিক ব্রোঞ্জ পদক জিতে এবং বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ১ নম্বর স্থান অর্জন করে সাইনা একজন বিশ্বব্যাপী আইকন হয়ে ওঠেন।
অন্যদিকে, ২০১৪ সালের কমনওয়েলথ গেমসে স্বর্ণপদক জিতে এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে ধারাবাহিক পারফর্ম করে পারুপল্লি তাঁর নিজের জায়গা তৈরি করেছিলেন। ৩৮ বছর বয়সী এই খেলোয়াড় লন্ডনে অনুষ্ঠিত ২০১২ সালের অলিম্পিক গেমসে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছানো প্রথম ভারতীয় পুরুষ খেলোয়াড় ছিলেন। ২০১০ সালের কমনওয়েলথ গেমসে পদক তালিকায় পারুপল্লির একটি ব্রোঞ্জ পদকও রয়েছে। ২০১২ সালে ভারত সরকার তাকে অর্জুন পুরষ্কারে ভূষিত করে।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন:ফেসবুক ও টুইটার





