অলস্পোর্ট ডেস্ক: রাতারাতি উৎসব বদলে গেল যন্ত্রণায়। মঙ্গলবার রাতেই পঞ্জাবকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আরসিসি। বুধবার পুরো দল ফেলে বেঙ্গালুরুতে। এদিন সেখানে প্রাথমিকভাবে হুড খোলা বাসে শহর ভ্রমণের পরিকল্পনা থাকলেও তার বাতিল হয় ট্র্যাফিক জ্যামের আশঙ্কায়। আয়োজন করা হয় সংবর্ধনার। কর্ণাটক সরকার চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে দলকে সংবর্ধনা দেওয়ার ব্যবস্থা করে। যখন ভিতরে এই অনুষ্ঠান চলছে তখনই স্টেডিয়ামের বাইরে তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা। আর তাতেই পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় একাধিক সমর্থকের।
১৮ বছর পর আরসিবি-র আইপিএল জয়ের পর বেঙ্গালুরুতে যে উচ্ছ্বসিত উদযাপন শুরু হয়, তাতে পদপিষ্ট হয়ে তিনজনের মৃত্যুর খবর প্রাথমিকভাবে পাওয়া গেলেও পরবর্তী সময়ে শোনা যায় তা বেড়ে ১১ হয়েছে। কোহলিরা মাঠে ঢোকার আগেই এই ঘটনা ঘটলেও অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়নি, গান, বাজনা, আনন্দ, উচ্ছ্বাস সবই চলে।
কর্ণাটক রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (কেএসসিএ) আয়োজিত দলের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের কাছে জড়ো হওয়ার পর থেকেই এই বিশৃঙ্খলা শুরু হয়।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে পুলিশ আহত ও জ্ঞ্যান হারানো ব্যক্তিদের নিকটবর্তী হাসপাতালে স্থানান্তর করছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, উৎসব দেখতে আসা অনেকেই হুড়োহুড়ির মধ্যে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যান।
কর্ণাটকের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার বলেন, ভিড় “নিয়ন্ত্রণহীন” ছিল।
“অতিরিক্ত ভিড়ের জন্য আমি ক্ষমা চাইছি,” মি. শিবকুমার বলেন। “আমরা ৫,০০০ এরও বেশি কর্মীর ব্যবস্থা করেছি। এটি একটি তরুণ প্রাণবন্ত জনতা, আমরা তাদের উপর লাঠি ব্যবহার করতে পারি না।”
স্টেডিয়ামের কাছের কিছু বেঙ্গালুরু মেট্রো স্টেশনের দৃশ্যেও দেখা গেছে যে ট্রেন থেকে নেমে সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসছে বিশাল জনতা।
কাছের বাউরিং হাসপাতালে, আহতদের নিয়ে পর পর অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছয়, তাদের নামিয়ে আবার স্টেডিয়ামে ফিরে যায় অ্যাম্বুলেন্সগুলো।
উদযাপনের এক ঝলক দেখার জন্য লোকজনকে গাছে উঠতে এবং গাছের ডালে বসে থাকতে দেখা গেছে। কর্ণাটক সরকার নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বিধান সৌধ থেকে স্টেডিয়াম পর্যন্ত একটি বিজয় কুচকাওয়াজ বাতিল করেছে।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার