অলস্পোর্ট ডেস্ক: ক্লেটন সিলভার বিদায় ছিল দুঃসময়ের অপেক্ষা। তবে সেটা সুপার কাপের পরই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছাল যে তড়িঘড়ি ক্লেটন বিদায় হয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল এফসি-তে। বুধবার ক্লাবের তরফে অফিসিয়ালি জানিয়ে দেওয়া হয় ক্লাব ও প্লেয়ারের সম্মতিতে এই সম্পর্ক ছিন্ন হচ্ছে। যদিও কোচের সঙ্গে বার বার বিবাদে জড়ানোর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ক্লেটন বিদায় আবশ্যক ছিল।
দু’বছরের চুক্তিতে গতবছর ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। অস্কার ব্রুজোঁ আসার পর তিনি ক্লেটনকে দলে চাননি। কিন্তু চুক্তি থাকায় তাঁকে বাদ দেওয়া সম্ভব হয়নি। পুরো ম্যাচ খেলার সুযোগ না পেলেও নিয়মিত তাঁকে খেলানোর চেষ্টা করেছেন অস্কার। তিনিই ছিলেন অধিনায়ক। কিন্তু আশানুরূপ ফল আসেনি তাঁর মতো সিনিয়র প্লেয়ারের কাছ থেকে। যে কারণে গেম টাইমও কমতে থাকে। যা নিয়ে ক্ষোভ ছিল ক্লেটনের।
আইএসএল যাত্রা শেষ হয়ে যাওয়ার পর সুপার কাপকে পাখির চোখ করেই এগোচ্ছিল ইস্টবেঙ্গল। গত মরসুমে কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের হাত ধরে এই একটি ট্রফিই এসেছিল ঘরে। সে কারণে এবারও সব আশা শেষ হয়ে যাওয়ার পর একটাই আশা বাকি ছিল, আর সেটা সুপার কাপ। তার আগে ক্লাবের অন্দরের ক্ষতবিক্ষত ছবিটা সামনে নিয়ে এল অস্কার-ক্লেটন ঝামেলা।
ঝামেলার সূত্রপাত দিন কয়েক আগের অনুশীলনে। নিউটাউনের সেন্টার অব এক্সিলেন্সে অনুশীলনে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল। গত কয়েকবছর ধরে এখানেই প্র্যাকটিস করে লাল-হলুদ। সেখানেই কোচের সঙ্গে বচসার পর মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান ক্লেটন। তাঁর পর ধিকি ধিকি আগুনটা জ্বলছিলই। যার বিস্ফোরণ দেখা গেল পয়লা বৈশাখের দিন ক্লাব তাঁবুতে সর্বসমক্ষে।
অনুশীলন শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই অস্কার ও ক্লেটনকে দেখা যায় একে অপরের দিকে আঙুল তুলে তেড়ে যেতে। সেই সময় ক্লাবে যেমন হাজির ছিলেন সব কর্তারা, তেমনি গ্যালারিতে ছিলেন অনেক সমর্থক। ছিল প্রচুর সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা। কিন্তু কারও তাতে কোনও ভ্রূক্ষেপ ছিল না। বচসা তুঙ্গে ওঠে। শেষ পর্যন্ত সৌভিক চক্রবর্তীসহ আরও কয়েকজন ক্লেটনকে জোড় করে মাঠের বাইরে নিয়ে যান। তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ক্লেটন বিদায়ের বাঁশি বেজে গেল।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার