অলস্পোর্ট ডেস্ক: এশিয়া কাপ ক্রিকেটের গ্রুপ পর্যায় ও সুপার ফোরে পাকিস্তানকে দুবার দুরমুশ করে হারিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। সাম্প্রতিক সাক্ষাতকারে প্রচারমাধ্যমকে ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব তাচ্ছিল্যের সুরেই বলেছেন, ‘ পাকিস্তান আর আমাদের শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বীর তালিকায় পড়ে না। তাই রাইভালরির কথা তাদের ক্ষেত্রে খাটে না।’ এশিয়া কাপ ফাইনালে রবিবার আবার মুখোমুখি হচ্ছে ভারত ও পাকিস্তান। তার আগে সূর্যকুমারের মতোই পাকিস্তান নিয়ে এক সুর ভারতীয় হকি দলের তারকা হার্দিক সিংয়ের গলায়।
ভারতীয় হকি দলের সহ অধিনায়ক হার্দিক ফাইটার জেটের গোঁত খেয়ে পড়ার ভঙ্গি করে পাকিস্তান হকি দলের বর্তমান অবস্থাকে ব্যঙ্গ করেছেন। তাঁর মতে, ক্রিকেট, হকিতে ভারতের মানের ধারে কাছে নেই পাকিস্তান। হার্দিকের বক্তব্য, ‘ ক্রিকেটের মতো হকিতেও আর কোনও রাইভালরি অবশিষ্ট নেই। হকিতে একসময় পাকিস্তানকে বিশ্বের শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হিসেবে মানা হত। ভারত-পাকিস্তান দেখা হওয়া মানে তখন একটা যুদ্ধ যুদ্ধ ব্যাপার থাকত হকি টার্ফে। দুই দেশ ভাগাভাগি করে ১১টি অলিম্পিক সোনা জিতেছে। সেসব এখন অতীত। ভারত যেখানে চড়াই উতরাইয়ের পর আবার নিজেদের জায়গা করে নিতে পেরেছে, আন্তর্জাতিক মঞ্চে, সেখানে পাকিস্তান ক্রমশ পিছিয়ে পড়েছে।’
পরিসংখ্যান দিয়ে হার্দিক জানিয়েছেন, ‘ ভারত ও পাকিস্তানের মাঝে পার্থক্যটা এখন এতটাই বেশি, যে ওদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আমাদের মনে কোনও উত্তেজনা জাগায় না। শেষ ১০ সাক্ষাতের মাঝে ৮টিতেই জিতেছি আমরা, ২ টি ড্র হয়েছে। তাই পাকিস্তান আর আমাদের কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। তাই ওদের নিয়ে আর কোনও কথা বলা অর্থহীন। এই পার্থক্যটা ক্রমশ বাড়বে।’
হার্দিক মনে করেন, পাকিস্তান হকির এই গোঁত খেয়ে পড়ার পিছনে দায়ি তাদের ফেডারেশন। হকি খেলোয়াড়রা আর আগের মতো সুযোগ সুবিধা পান না। এখনও মনে করি, ওদের খেলোয়াড়রা যথেষ্ট ভাল। ফেডারেশন ওদের পাশে দাঁড়ালে এতটা খারাপ অবস্থা হত না।’
হার্দিকের দাবি, ২০১৪ সালে শেষবার বিরুদ্ধে জিতেছিল পাকিস্তান। তারপর ওরা আর ভারতকে হারাতে পারেনি। যদিও আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনের ওয়েবসাইট বলছে, পাকিস্তানের কাছে ভারত শেষবার হেরেছিল ২০১৬ সাউথ এশিয়ান গেমসে।
হার্দিকের কাছে প্রশ্ন ছিল, হকি খেলোয়াড় না হয়ে ক্রিকেটার হওয়ার কোনও বাসনা আপনার ছিল কি? ভারতীয় হকি তারকার উত্তর, ‘ হকি আমাকে অনেককিছু দিয়েছে। অন্য খেলা সেই সম্মান ও স্বীকৃতি আমাকে দিতে পারত না। ২০২১ টোকিওতে অলিম্পিক পদকজয়ের পর সারা দেশ জুড়ে হকির জনপ্রিয়তা ঘিরে যে উন্মাদনা অনুভব তা এককথায় হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া। অলিম্পিক হকিতে ৪০ বছর পর পদক আসাটা একটা অন্যরকম ব্যাপার। বলে বোঝাতে পারব না কী সে আনন্দ, তৃপ্তি। তারপর আবার ২০২৪য়ে প্যারিসের মাটিতে অলিম্পিক পদক জয়। এই অনুভূতি সবকিছুর চেয়ে আলাদা। ভারতীয় হকির পুনরুত্থান বা নব জাগরণ বললে এতটুকু ভুল হবে না।’
পরপর ২ টি অলিম্পিকে পদক জয়ে হার্দিকের আত্মবিশ্বাস এতটাই বেড়েছে, বলেই দিলেন, ২০২৮ অলিম্পিক সোনা জেতার ক্ষমতা রাখে ভারত।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন:ফেসবুক ও টুইটার